বিবিসি বাংলা :

বাংলাদেশের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, মিয়ানমারে সহিংসতার কারণে পালিয়ে আসা ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিমের পেছনে বাংলাদেশে চলতি অর্থ বছরে সাত হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হবে।
শনিবার ঢাকায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডির এক সেমিনারে একথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলছেন, আন্তর্জাতিক সাহায্য যেন আগামি অর্থ-বছরে অব্যাহত থাকে তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে চেষ্টা চালাতে হবে।
তা না হলে নিজস্ব সম্পদ থেকে এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার খাদ্য-বাসস্থান নিশ্চিত করতে গেলে বাজেটের ওপর বড় চাপ পড়বে।
বিবিসি বাংলার পুলক গুপ্তকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডঃ ফাহমিদা খাতুন বলেন, জেনেভায় এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কী পরিমাণ সাহায্য ছয় মাসে দরকার হবে তার একটা হিসেবে দেয়া হয়েছিল। সেটাকে ভিত্তি হিসেব ধরেই তারা এক বছরে সাত হাজার কোটি টাকার এই হিসেব তৈরি করেছেন।

এই বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগান কোথা থেকে আসবে? এটি কি বাংলাদেশ সরকারকেই খরচ করতে হবে, নাকি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎস থেকে আসবে?
এ প্রশ্নের উত্তরে ডঃ ফাহমিদা খাতুন বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য আগামী ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সাহায্যের প্রতিশ্রুতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পাওয়া গেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে প্রথম ছয় মাসের পর বছরের বাকী ছয় মাসের সাহায্য কোথা থেকে আসবে। বাংলাদেশ সরকারের এখনো পর্যন্ত এ বাবদ সেরকম বড় কোন খরচ হয়নি। কিন্তু যদি বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্যের বোঝা আংশিকও বহন করতে হয়, সেটা বাংলাদেশের বাজেটের ওপর বিরাট চাপ তৈরি করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এই বিপুল অর্থের সংস্থানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ‘এইড ডিপ্লোম্যাসি’ চালাতে হবে।